উপ-প্রশাসনিক কর্মকর্তা সুব্রত যেন আলাদীনের চেরাগ
হবিগঞ্জের পলাতক এমপি আবু জাহিরের নেক নজরে ছাত্রলীগ ক্যাডার থেকে প্রশানিক কর্মকর্তা
স্টাফ রিপোর্টার।। নবীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের উপ- প্রশাসনিক কর্মকর্তা সুব্রত দেবের বিরুদ্ধে অনিয়ম- দূর্নীতি ও আধিপত্য বিস্তারের অভিযোগ উঠেছে। এমনকি পতিত স্বৈরাচারের দোসর ছাড়াও নিষিদ্ধ ছাত্র লীগের ক্যাডার হিসেবে হবিগঞ্জ বৃন্দাবন সরকারি কলেজে গড়ে তুলেছিলেন ত্রাসের রাজত্ব। এর মূল্যায়ন স্বরুপ হবিগঞ্জের পলাতক এমপি আবু জাহিরের আশীর্বাদে এবং শহীদ উদ্দিন চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি আলমগীর চৌধুরী ও আওয়ামী নেতৃবৃন্দের সুপারিশে ষাট মুদ্রাক্ষরিক পদে ২০১৪ সালে জেলা প্রশাসনে যোগদান করেন।
এ ব্যাপারে নবীগঞ্জের মাহিদুর রহমান নামের এক ব্যক্তি বিস্তারিত অভিযোগ এনে ১৩ জুলাই হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক বরাবর একটি আবেদন করেছেন।
এতে উল্লেখ করা হয়, সুব্রত দেব, বৃন্দাবন সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের একজন ক্যাডার ছিলেন। তার বাবা ছিলেন রাইছ মিলের ড্রাইভার। বিগত স্বৈরাচারী আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে ছাত্রলীগের প্রভাব খাটিয়ে হবিগঞ্জ-লাখাই আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আবু জাহির ও সাবেক মেয়র শহীদ উদ্দিন চৌধুরীর সুপারিশে বিগত ১৪ মে ২০১৪ তারিখে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে সাঁট-মুদ্রাক্ষরিক পদে যোগদান করেন।
এরপর হতে নিজেকে আওয়ামী পরিবারের সদস্য হিসেবে মোঃ আবু জাহির, মো: আলমগীর চৌধুরী ও ফজলুল হক চৌধুরী সেলিমের সহযোগিতায় তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে প্রচুর বিভিন্ন সেক্টরের আধিপত্য বিস্তার করে অর্থবিত্তের মালিক বনে যান। সুচতুর সুব্রত দেব তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাজিনা সারোয়ার, উপজেলা চেয়ারম্যান আলমগীর চৌধুরী ও সাবেক সংসদ সদস্য এম,এ মুনিম চৌধুরীকে ম্যানেজ করে সুব্রত চক্র প্রাথমিক বিদ্যালয়সমূহের ৫২টি দপ্তরী কাম প্রহরী নিয়োগে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়।
এছাড়া টিসিবি ডিলার, সারের ডিলার, এডিপি, টিআর, কাবিখা, উন্নয়ন তহবিল, হাট-বাজার ইজারা, হাট বাজারের একসনা বন্দোবস্ত, কৃষি খাস জমি বন্দোবস্থের নামেও লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়। অবৈধ উপার্জনে আয়ের টাকায় আয়ের সাথে সংগতিহীন জীবন যাপন করায় তার বিরুদ্ধে স্থানীয় অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশন কর্তৃক মামলা হয়। ধুরন্ধর সুব্রত দুর্নীতি দমন কমিশনের অসাধু তদন্ত কর্মকর্তাকে বশীভূত করে মামলাটি নথিভুক্ত করে ফেলে।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে তৎকালীন জেলা প্রশাসক মনিষ চাকমা তাকে ২০১৮ সালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় চুনারুঘাটে বদলী করেন। তখন সময়ে সে এতটাই ক্ষমতাশালী হয়ে উঠে যে, সে জেলা প্রশাসকের আদেশ উপেক্ষা করে স্বপদে বহাল থেকে রাম রাজত্ব কায়েম করে। পরবর্তীতে জেলা প্রশাসন কর্তৃক উক্ত কর্মচারীকে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়, বানিয়াচংয়ে বদলী করা হলেও তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী অফিসার তৌহিদ বিন হাসান তাকে অবমুক্ত করার দুঃসাহস দেখাতে পারেননি।
পরবর্তীতে বিশ্বজিত কুমার পাল উপজেলা নির্বাহী অফিসার ২৯/১২/২০১৯ সালে তাকে অবমুক্ত করেন। বানিয়াচং এ যোগদানের পর আওয়ামীলীগের প্রভাব প্রতিপত্তি খাটিয়ে পুনরায় রাম রাজত্ব কায়েম করে আশ্রয়ণ প্রকল্প থেকে হাতিয়ে নেয় কোটি টাকা।
Leave a Reply