সুলতান মাহমুদ পুর গ্রামের সাজাপ্রাপ্ত দুজনকে কারাগারে পাঠালেন আদালত।
স্টাফ রিপোর্টার।।
হবিগঞ্জ শহরতলীর সুলতান মাহমুদ পুর গ্রামের একটি নিরীহ পরিবারের ভূমি জোর পূর্বক দখল করে, আত্মসাতের চেষ্টা চালায়, একই গ্রামের একটি প্রভাবশালী ভূমি খেকো স্বার্থন্বের্ষী কু চক্র মহল। জানা যায়, বিগত ২০০৯ ইং সালের ২২ ডিসেম্বর একটি নিরীহ পরিবারের ভূমি জোর-জবর দখল করে নেয়ার চেষ্টা করলে। এতে বাঁধা দেন ভূমির মালিক আর্শাদ আলী ও আউয়াল মিয়াগং। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে
একই এলাকার প্রভাবশালী ছিদ্দিক আলী,ও তার পুত্র আল আমিন, নুরুজ্জামান, দরছ আলী, বাবুল মিয়াসহ ৫ জন দূর্বৃত্তরা আউয়াল মিয়া ও তার পরিবারের লোকজনকে অমানুষিক নির্যাতন ও লুটপাট করে, জিনিস পত্র নিয়ে যায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০০৯ ইং সালের ২৪ ডিসেম্বর হবিগঞ্জের বিজ্ঞ ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে এক মামলা দায়ের করেন আর্শাদ আলীর স্ত্রী জাহেদা খাতুন যার নং – সি আর ২২৭/২০১০ ইং। উক্ত মামলা ২০১৮ইং সালে ছিদ্দিক আলীর ১ বছর, আল আমিনের ১ বছর, দরছ আলীর ৬ মাস,নুরুজ্জামানের ৬ মাসের সাজা প্রদান করেন বিজ্ঞ আদালতে বিচারক বিজ্ঞ চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট তৌহিদুল ইসলাম। এসময় বাবুল মিয়া খালাসে মুক্তি পায়। পরে ছিদ্দিক আলীগং উক্ত মামলাটি হবিগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আপীল দায়ে করলে পরবর্তীতে বিজ্ঞ বিচারক বিচারের জন্য অতিরিক্ত দায়রা জজ ২য় আদালতে ২০১৮ ইং সালে ফৌজদারী আপীল নং- ২৫৩/২০১৮ইং প্রেরন করার পর দীর্ঘ ১৫ বছর পর ২০২৪ইং সালের ১৭ নভেম্বর মামলাটি আবারও পূর্ণ রায় বিচার হলে। উক্ত মামলায় ছিদ্দিক আলীর পুত্র আল আমিন ১ বছর ও নুরুজ্জামানকে ৬ মাসে সাজা প্রদান করেন আদালতের বিজ্ঞ বিচারক ইয়াসিন আরফাত দুজনকে দোষী সাব্যস্ত করে সাজা প্রদান করেন। অপর আসামী দরছ আলীকে খালাস দেয়া হয়েছে। গত ৯ জানুয়ারী বৃহস্পতিবার গোপনে আদালতে আত্মসর্মপন্ন করলে জেল হাজতের আদেশ দেন। বাদীপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন, এডভোকেট মোঃ হাফিজুর ইসলাম, আসামী পক্ষের আইনজীবী ছিলেন, এডভোকেট আব্দুল নুর খাঁন।
Leave a Reply