হবিগঞ্জের হাসপাতাল থেকে পুলিশ প্রহরায় থাকা সন্দেহভাজন ডাকাতের পলায়ন রহস্য জনক
হবিগঞ্জ প্রতিনিধি।।
হবিগঞ্জ হাসপাতাল থেকে পুলিশি প্রহরায় চিকিৎসাধীন থাকা জালাল মিয়া ওরফে স্প্রিং জালাল (৩২) নামে ডাকাতি মামলার আসামী পালিয়েছেন। শুক্রবার (৭ জানুয়ারি) ভোরে জেলা সদর ২৫০ শয্যা হাসপাতালের সার্জারি ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় প্রহরায় থাকা দুই পুলিশ কনস্টেবলকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। আর ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের একটি কমিটি করেছেন পুলিশ সুপার।
শায়েস্তাগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দিলীপ কান্ত নাথ আসামী পালানোর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান- শায়েস্তাগঞ্জে ডাকাতের হামলায় একজন বিএনপি নেতার মৃত্যুর ঘটনায় ৫ জনকে আটক করা হয়। এদের মধ্যে জালাল মিয়া গ্রেপ্তারের সময় আহত হন। যে কারণে বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারি) সকালে তাকে হবিগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পুলিশ লাইন্সের দুইজন কনস্টেবল প্রহরার দায়িত্বে ছিলেন। শুক্রবার ভোরে দুই পুলিশ একটু তন্দ্রাচ্ছন্ন অবস্থায় ছিলেন। এসময় বাথরুমে যাবার কথা বলে জালাল মিয়া পালিয়ে যান। এ ঘটনায় শায়েস্তাগঞ্জ থানার পক্ষ থেকে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানায় একটি মামলা করা হবে। পালিয়ে যাওয়া আসামী মাধবপুর উপজেলার সুন্দরপুর গ্রামের দুকা মিয়ার ছেলে।
এ ব্যাপারে হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার এ.এন.এম সাজেদুর রহমান বলেন- ঘটনার পরপরই আসামীর প্রহরায় পুলিশ লাইন্সের দুই কনস্টেবলকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। ঘটনার তদন্তের জন্য হবিগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. শহীদুল হক মুন্সীকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। পালিয়ে যাওয়া আসামীকে ধরতে পুলিশ নিরলসভাবে চেষ্টা করছে।
গত ৩ ফেব্রুয়ারি রাতে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে দুই বিএনপি নেতা ডাকাতের কবলে পড়েন। একই সময় ডাকাতের হামলায় বিএনপি নেতা ও ব্যবসায়ী মহসিন মিয়া নিহত হন। এ ঘটনায় ৫ ফেব্রুয়ারি রাতে শায়েস্তাগঞ্জ থানার এসআই তাজুল ইসলাম বাদী একটি মামলায় দায়ের করেন।
বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ভোরে মাধবপুর উপজেলার সুন্দরপুর এলাকায় একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে ৪ জনকে আটক করে। এদের একজন হলেন জালাল মিয়া। এ মামলায় গ্রেপ্তার বাকী ৪ আসামীকে বৃহস্পতিবার আদালতে সোপর্দ করা হয়। আর আহত থাকার কারণে জালাল মিয়াকে পাঠানো হয়েছিল হাসপাতালে।
ছবি সংযুক্ত- জালাল মিয়া।
Leave a Reply